শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০০৯

প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হলো গৌরনদী পৌরসভা

প্রতিষ্ঠার পর এক যুগ পার হতে না হতেই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদাধারী বরিশালের গৌরনদী পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেছে। ওই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত ১১ নভেম্বর এ আদেশ জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তিনি এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর সাবেক চিফ হুইপ ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ গৌরনদী উপজেলা সদরকে পৌরসভায় উন্নীত করেছিলেন। তৃতীয় শ্রেণীর মর্যাদা নিয়ে যাত্রা শুরু করার পর ১৯৯৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করে।
আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ
গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহাবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে ১৫০ জন কৃষকের মধ্যে সাড়ে সাত টন সার ও ৪৫০ কেজি বোরো ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।

সূত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২২.১১.০৯
গৌরনদী (বরিশাল) সংবাদদাতা

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০০৯

আবুল হাসানাতকে অভিনন্দন জানানোর অপরাধে যুবলীগ নেতা বহিস্কার !

আওয়ামী লীগের সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বরিশাল যাওয়া উপলক্ষে পত্রিকায় অভিনন্দন বিজ্ঞাপন ছাপানোর অপরাধে বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগের এক নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মহানগর যুবলীগের এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিস্কৃত নেতার নাম মজিবর রহমান। মহানগর যুবলীগ আহবায়ক নিজামুল হক নিজাম শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আগমন উপলক্ষে কয়েকদিন আগে বরিশাল আওয়ামী লীগের এক প্রস্তুতি সভা হয়। তার আগমন উপলক্ষে পত্রিকায় ব্যক্তিগত অভিনন্দন জানানো যাবে না বলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মহানগর নেতা মজিবর রহমান এক আঞ্চলিক পত্রিকায় সাবেক চীফ হুইপকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেন। এ ঘটনায় তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়।

সূত্রঃ শীর্ষ নিউজ ডট কম ১৪ অক্টোবর ২০০৯

৮ বছর পর আজ বরিশালে যাচ্ছেন আ’লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ

আট বছর পর আজ বুধবার বরিশাল আসছেন আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তাকে বরণ করতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আজ সকালে সড়কপথে বরিশালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সকাল ১১টায় তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকা গৌরনদীতে পথসভায় বক্তব্য রাখবেন। বিকেলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নগরীর ফজলুল হক এভিনিউর পুরনো কালেকটরেট ভবনের সামনে মুক্তাঙ্গনে তাকে সংবর্ধনা দেবে। এতে সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরন সভাপতিত্ব করবেন। বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বরিশাল অঞ্চলের প্রতিমন্ত্রী, দলীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা।
এ উপলক্ষে বরিশাল জেলার প্রবেশদ্বার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা থেকে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউর সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সদর রোড, বিবির পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশে শোভা পাচ্ছে নানা রঙবেরঙের ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার। নগরীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা করা হয়েছে। কালিবাড়ী রোডের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসভবন, যেখানে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বাস করেন, সে ভবনটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। আট বছর পর ভবনটি আবার মুখরিত হচ্ছে নেতাকর্মীদের পদচারণায়।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বরিশাল জেলার প্রবেশদ্বার ভূরঘাটা এবং মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ নগরীর প্রবেশদ্বার কাশিপুরের গড়িয়ার পাড় থেকে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেবেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বরিশালে আগমন উপলক্ষে সংবর্ধনার সার্বিক প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সোমবার রাতে বরিশাল সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরন জানান, দক্ষিণ বাংলার উন্নয়নে হাসানাতের কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল থেকে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় বসেই বরিশালের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক মামলায় ৩৬ বছর সাজা হয়েছিল।

সূত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৪ অক্টোবর ২০০৯

শত তোরণ : ‘অভিভাবক’ বলেই এই সংবর্ধনা!


এক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রস্তুতি। তাঁকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নির্মিত হয়েছে শতাধিক তোরণ। তাঁর ছবিসংবলিত পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে শহর। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ছবিঃ রহমান আরিফ

শত তোরণ
‘অভিভাবক’ বলেই এই সংবর্ধনা!

তিনি মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নন, এমনকি সাংসদও নন, তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন ওরফে হিরণের ভাষায়, তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ‘অভিভাবক’।
এই তিনি হলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। আজ বুধবার ঢাকা থেকে তিনি বরিশাল জেলা শহরে আসছেন। তাঁর আগমন উপলক্ষে তাঁকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। সমর্থকেরা প্রস্তুতি নিয়েছেন এক সপ্তাহ ধরে।
তাঁকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা থেকে বরিশাল শহর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। শহরের বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে তাঁর ছবিসংবলিত পোস্টার, ব্যানার ও প্নাকার্ড। এর আগে শেষবার তিনি ঢাকা থেকে বরিশাল আসেন ২০০৬ সালের ২৬ নভেম্বর।
মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও মেয়র শওকত হোসেন বলেন, ‘আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আমাদের অভিভাবক। তাই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এ বছর কোনো ব্যক্তির নামে তোরণ নির্মাণ করতে দেওয়া হয়নি। আয়োজন করা হয়েছে মূল দল ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক লস্কর নূরুল হক প্রথম আলোকে জানান, হাসানাত আবদুল্লাহকে স্বাগত জানাতে ভুরঘাটা থেকে বরিশাল শহর পর্যন্ত শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কপথে ভুরঘাটায় আসার পর হাসানাত আবদুল্লাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানিয়ে মোটর শোভাযাত্রাসহ বরিশাল নিয়ে আসা হবে। শোভাযাত্রায় অংশ নেবে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ কয়েক শ’ যানবাহন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন পানিসম্পদমন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। শোভাযাত্রা কালেক্টরেট ভবনের সামনে গিয়ে থামবে। সেখানে বিকেল চারটায় একটি মঞ্চে হাসানাত আবদুল্লাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
তার আগমন উপলক্ষে বরিশালের ডেকোরেটরের কর্মীরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ করে নগরে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ করেছেন। ফরিদপুর থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে ডেকোরেটরের কর্মী। নগরের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে একটি বিশাল তোরণ নির্মিত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তোরণ নির্মাণে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’ তিনি জানান, মাদারীপুর, কালকিনি, টরকী বন্দর, গৌরনদী, বাটাজোর, মাহিলারা, জয়শ্রী, বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, রহমতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৩০টি ডেকোরেটরের কয়েক শ’ শ্রমিক এসব তোরণ নির্মাণে অংশ নেন।
বরিশালের অংকন ডেকোরেটর সাতটি তোরণ নির্মাণ করে। এর শ্রমিক সরদার শাহ আলম হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বায়না যে করছে, টাহা ওই পর্যন্ত। এরপর অনেককে বিছরাইয়াও (খুঁজে) পাওন যাইবে না।’
এই সংবর্ধনার ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশালের অনেক ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, তিনি তো সাধারণ একজন নেতা। সাংসদ, প্রতিমন্ত্রী বা মন্ত্রী নন। তাঁর জন্য এত আয়োজন কেন?
আওয়ামী লীগের আরেকটি সূত্র জানায়, তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে বরিশালের ১০ উপজেলার বাইরে পাথরঘাটা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা থেকে নেতা-কর্মীদের আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো, ১৪ অক্টোবর ২০০৯

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০০৯

আট বছর পর কাল বরিশাল ফিরছেন হাসানাত : সংবর্ধনার ব্যাপক প্রস্তুতি

আট বছর পর আগামীকাল বুধবার সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বরিশালে ফিরে আসবেন। তার সফরকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে দীর্ঘদিন পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। স্বতঃস্ফূর্ত নেতা-কর্মীরা মিছিল, মিটিং ও গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি নিয়ে দিন-রাত ব্যস্ত। স্থানীয়ভাবে দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও হাসানাতের সংবর্ধনায় তার কোন প্রভাব পড়ছে না।
এখানকার আওয়ামী লীগের কোন্দল উপজেলাভিত্তিক। বিশেষ করে বরিশাল সদর, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া ও গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে যে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে তা আজও নিরসন হয়নি। এছাড়াও দলের পদ-পদবী ও নেতৃত্ব নিয়ে গত আঁ বছরে রাজনৈতিক ময়দানে যে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে তা হাসানাত ফেরার পরে নিরসন হবে বলে নেতা-কর্মীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সড়ক পথে হাসানাত বরিশাল ফেরার পথে গৌরনদীতে পথসভায় বক্তৃতা করবেন। মাদারীপুর সীমান্ত থেকে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউর সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ। সংবর্ধনা সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বক্তৃতা করবেন। সভাপতিত্ব করবেন নগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক মেয়র শওকত হোসেন হিরন। সংবর্ধনা মঞ্চে এ অঞ্চলের মন্ত্রী, হুইপ ও এমপি’র উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অর্ধলক্ষ লোক সমাগম করতে দলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক ১৩ অক্টোবর ২০০৯

গৌরনদীতে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে সমাবেশ

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গত রোববার পৃথকভাবে মিছিল-সমাবেশ করেছে দলের দু’টি পক্ষ। অপর দিকে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিও একই দিনে সমাবেশের আয়োজন করে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপি ৪ অক্টোবর আব্দুস সোবহানকে আহ্বায়ক করে গৌরনদী উপজেলা ও এস এম মনির-উজ জামানকে আহ্বায়ক করে গৌরনদী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। নবগঠিত এই দুটি আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির দু’টি পক্ষ লাগাতার আন্দোলন শুরু করে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের সমর্থক গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে রোববার সকালে শতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় দখল করে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা উপজেলা ও পৌর কমিটির আহ্বায়কদের বহিরাগত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আহ্বায়ক কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
একই সময়ে সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপনের সমর্থক জহির সাজ্জাত হান্নানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বন্দরের পৌর বিএনপির কার্যালয় দখল করে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে উপজেলা ও পৌরসভার পালা আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেন। তাঁদের ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জহির সাজ্জাত হান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে নবগঠিত উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটির যৌথ উদ্যোগে রোববার বেলা ১১টায় বন্দরের আব্দুর রব কিন্ডারগার্টেনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির যুগ আহ্বায়ক আব্দুর রব। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিপথগামী কতিপয় নেতা-কর্মী বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। তাঁদের মূলধারায় ফিরে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, ১৩ অক্টোবর ২০০৯

গৌরনদী বিএনপিতে উত্তেজনা

ত্রিধাবিভক্ত উপজেলা ও পৌর বিএনপির স্ব-স্ব গ্রুপের সমর্থকরা তাদের ঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে রোববার দুটি গ্রুপের সমর্থকরা পৃথক সভা-সমাবেশ করেছে। অপরদিকে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় সমাবেশের আয়োজন করে। উপজেলা ও পৌর বিএনপির দুটি কার্যালয় মূলধারাবিরোধী সমর্থকরা দখল করে অবস্থান নিয়েছেন। ত্রিধাবিভক্ত বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মারমুখী অবস্থানে থাকায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপি ৪ অক্টোবর বরিশাল-১ আসনের চারদলীয় জোটের মনোনীত পরাজিত প্রার্থী প্রকৌশলী আবদুস সোবহানকে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করে ৪৬ সদস্যের এবং এসএম মনির-উজ-জামান মনিরকে গৌরনদী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির দুটি গ্রুপ লাগাতার আন্দোলন শুরু করে। কেন্দ ীয় যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের সমর্থক গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সভাপতি বদিউজ্জামান মিন্টুর নেতৃত্বে রোববার সকালে শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের উপজেলা বিএনপির কার্যালয় দখল করে সমাবেশ করেন। বদিউজ্জামান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আবদুল আউয়াল লোকমান, তাইফুর রহমান কচি, গোলাম মোর্শেদ পান্না, আলাউদ্দিন বেপারি, আতাউর রহমান আবু প্রমুখ। বক্তারা উপজেলা ও পৌর কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে প্রকৌশলী আবদুস সোবহান ও এসএম মনির-উজ-জামান মনিরকে বহিরাগত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আহ্বায়ক কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। অপরদিকে একই সময় সাবেক সাংসদ ও কেন্দর তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহিরউদ্দিন স্বপনের সমর্থক জহির সাজ্জাত হান্নানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক গৌরনদী বন্দরের পৌর বিএনপির কার্যালয় দখল করে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্চ ছুড়ে উপজেলা ও পৌরসভার পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে মূলধারা ও জেলা কমিটির ঘোষিত নবগঠিত উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটির যৌথ উদ্যোগে সমাবেশ রোববার সকাল ১১টায় বন্দরের আবদুর রব কিন্ডারগার্টেনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আহ্বায়ক প্রকৌশলী আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুর রব। বক্তব্য রাখেন জেলা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষা মাকসুদা হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মনির-উজ-জামান মনির, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ আবুল হোসেন মিয়া প্রমুখ।

সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর, ১২ অক্টোবর ২০০৯